Contents
WB Lakshmi Bhandar : রাজ্যের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই একাধিক জনমুখি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রয়েছে কেন্দ্র সরকারের একাধিক জনমুখি প্রকল্প।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার গৃহবধূরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন। তবে রাজ্যের তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ১০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন।
সম্প্রতি রাজ্যের কয়েক হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের(WB Lakshmi Bhandar) সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা গিয়েছে, অনেকেই এই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না।
মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেন বঞ্চিত হচ্ছেন? সমস্যা কোথায়?
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গত বছর থেকে যে সরকারি ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হয়েছে, তারই প্রভাব পড়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পড়ার ক্ষেত্রে।
একাধিক সরকারি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের জেরে সম্প্রতি বদলে গিয়েছে অনেক শাখার আইএফএসসি (IFSC) কোড। এই আইএফএসসি (IFSC) কোড সংক্রান্ত আপডেট জমা না পড়ায় রাজ্যের অনেক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা জমা পড়ছে না।
যে সমস্ত ব্যাঙ্কের আইএফএসসি (IFSC) কোড বদলে যাওয়ায় গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের তরফ থেকে প্রচেষ্টা ।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের(WB Lakshmi Bhandar)প্রাপকরা আইএফএসসি (IFSC) কোড সংক্রান্ত আপডেট জমা দিতে পারবেন।
সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষের বেশি মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। যাঁদের টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে, তাঁরাও শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাবেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারি নতুন নিয়ম ও বিধি সম্পর্কে। নতুন এই নিয়মের গেরোয় কারা পড়তে চলেছেন কারাই বা ছাড় পেতে চলেছেন।
- সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাজ্যের এমন অনেক মহিলায় আছেন যারা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অন্যান্য আর্থিক ভাতার সুবিধা ইতিমধ্যেই পেয়ে থাকেন এবার থেকে সেই সকল মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের(WB Lakshmi Bhandar) টাকা পাবেন না।
- যারা বয়সের ক্ষেত্রে জাল সংশাপত্র অর্থাৎ সার্টিফিকেট দেখিয়ে বয়স এবং জাতীত্ব অর্থাৎ কাস্ট পাল্টে এতদিন ৫০০ টাকার বদলে নগদ এক হাজার টাকা পেয়েছেন তারা এবার থেকে আর টাকা পাবেন না।
- যে সমস্ত মহিলারা তাদের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ব্যাঙ্ক মারফৎ না করে সমবেত ভাবে একটি অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলছেন তাদের ক্ষেত্রেও এবার বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সুবিধা।
- রাজ্যে অনেক মহিলায় আছেন যারা ইতিমধ্যেই চাকরিও করছেন আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় নাম লিখিয়ে মাসে ভাতা তুলছেন । পাশাপাশি যে সকল মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত রয়েছে অথচ তারা সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন, এবার থেকে তারা আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন না।
- ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থাকা স্বত্তেও যে সমস্ত মহিলারা তাদের KYC আপডেট করেননি। KYC আপডেট না করা পর্যন্ত ওই সকল মহিলারা এবার থেকে আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন না।
স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভার ঢিলেঢালা গা জোয়ারি মনোভাবের সুযোগ নিয়ে রাজ্যের একাধিক মহিলা কখনও একাধিক অ্যাকাউন্ট-এর মাধ্যমে যেমন, বারংবার অহেতুক এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন তেমনি একাধিক বিষয়ে জাল সংশাপত্র তৈরি করে এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করে টাকা তুলে নিচ্ছেন প্রতিমাসে নিয়ম করে।
সাম্প্রতিক গোটা রাজ্য জুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের এই দুর্নীতি সামনে আসতেই একেবারে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের। এবার তাই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাস থেকে আর টাকা পাবেন না জাল সংশাপত্র জমা করা গৃহিণীরা।
তবে সরকারি তরফে বলা হয়েছে প্রকল্পের কাজ চলবে পুরোমাত্রায়। যে সকল মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈধ নথিপত্র এবং নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে টাকা পেতে কোনও অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুন : মেয়ের বিয়ের সময় এককালীন ৫১,০০০/- টাকা দেবে মোদী সরকার, জানুন কিভাবে
আবেদন করবেন এবং তার সাথে একাধিক তথ্য ।