Contents
ITR Filing Last Date:
আয়কর রিটার্ন কি জমা করেছেন ? না হলে ভরতে হবে জরিমানা।
সময়সীমা শেষ হওয়ার মুখেও বহু করদাতা এখনও আইটিআর ফাইল করেননি। সময়সীমা না বাড়ানো হলে ভরতে হবে জরিমানা। করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার বার্তাও পাঠাচ্ছে আয়কর বিভাগ। আইটিআর ফাইল করার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখলেই কর বাঁচাতে পারেন।
ITR Filing Last Date ! আপনি কি এখনও আয়কর রিটার্ন জমা করেননি ?
আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই !
প্রায় শেষ হতে চলল আর্থিক বছর ২০২১-২২, অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার ২০২২-২৩, এর জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা। ITR ফাইল(ITR Filing Last Date) করার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার মুখেও বহু করদাতা এখনও আইটিআর ফাইল করেননি। কারণ প্রায় প্রতি বছরই সময়সীমা বাড়তে থাকে। এ বছরও এটাই হবে এমনটা নয়। সময়সীমা না বাড়ানো হলে ভরতে হবে জরিমানা। করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার বার্তাও পাঠাচ্ছে আয়কর বিভাগ। আইটিআর ফাইল করার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখলেই কর বাঁচাতে পারেন।
আয়ের বহুমুখী উৎস।
বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা একাধিক উৎস থেকে উপার্জন করেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করেন। সেখান থেকে আসে রিটার্ন। বেতন ছাড়াও অনেকে ভাড়া, শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আয় করেন। তৈরি হয় আয়ের বহুমুখী উৎস।
এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন আয়কে আমরা করযোগ্য আয় ধরি।
আয়কর আইন অনুযায়ী, করযোগ্য আয় অর্থাৎ মোট করযোগ্য আয়কে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বেতন থেকে আয়, বাড়ির সম্পত্তি থেকে আয়, মূলধনী লাভ থেকে আয়, ব্যবসা বা পেশা থেকে আয় এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয় ।
কি আপনার আয়ের উৎস কি শুধু বেতন(Salary)?
আপনার আয়ের উৎস যদি শুধুমাত্র বেতন হয়, তাহলে আইটিআর ফাইল করার ক্ষেত্রে বেশি চিন্তার দরকার নেই। বেতনভোগীরা ফর্ম-১৬ থেকে করযোগ্য আয় খুঁজে বের করতে পারেন। সহজেই পূরণ করতে পারবেন ITR। ফর্ম-১৬ এ পর্যন্ত প্রদেয় কর, মোট বেতন, কর ছাড় এবং ছাড় ইত্যাদির বিবরণ থাকে। বলতে পারেন ফর্ম-১৬ টিডিএসের একটি নথি।
ভাড়ার আয়ের উপর কি কর লাগু করা হয় ?
বেতন ছাড়াও, বেশিরভাগ মানুষের আয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল ‘ভাড়া’। রিয়েল এস্টেট ভারতীয়দের জন্য পছন্দের বিনিয়োগের বিকল্প। বাড়ি বা দোকান কিনে অনেকে ভাড়া দিতে পছন্দ করেন। এই বিভাগে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত,স্ব-অধিকৃত সম্পত্তি অথবা ভাড়া দেওয়ার মতো সম্পত্তি কিনা। স্ব-অধিকৃত সম্পত্তি হল এমন সম্পত্তি যা ব্যক্তির নিজের দখলে থাকে। এমন একাধিক সম্পত্তি থাকলে আপনি যে কোনও একটিকে স্ব-অধিকৃত সম্পত্তি হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন। স্ব-অধিকৃত সম্পত্তি থেকে আয় বিবেচনা করা হবে না। যদি উক্ত সম্পত্তিতে গৃহঋণ চালু থাকে তাহলে সুদের উপর ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং আসল পরিশোধের উপর ৮০সি-এর অধীনে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করা যেতে পারে। ভাড়া দেওয়া সম্পত্তিকে ‘রেন্টাল প্রপার্টি’ বলা হয়। যেখানে ‘স্ব-অধিকৃত’ নয় এমন প্রপার্টিগুলোকে ‘ডিমড টু বি আউট’ প্রপার্টি বলা হয়।
ক্রয়-বিক্রয়ের আয়ের উপরও কি কর আরোপ করা হয় ?
বাড়ি, দোকান, মিউচুয়াল ফান্ড এবং শেয়ার ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের আয়ের উপরও কর আরোপ করা হয়। বিক্রয় থেকে যে মুনাফা হয় সেটাই হল মূলধনী লাভ। মূলধনী লাভের ধরন নির্ধারণ করা হয় আপনি কত সময় ধরে সেগুলি ধরে রাখার পর বিক্রি করেছেন। দুই ধরনের মূলধনী লাভ আছে, যাকে বলা হয় স্বল্প মেয়াদী মূলধনী লাভ (STCG) এবং দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী লাভ (LTCG)। শর্ট টার্ম এবং লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইনের জন্য করের বিভিন্ন হার ইতিমধ্যেই স্থির করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী কর দিতে হবে।
বিকল্প আয় কি করযোগ্য ?
অনেকে আছেন যাঁরা চাকরির সাথেসাথে ব্যবসাও করেন। এই ধরনের ব্যক্তিরা যাঁরা ব্যবসা বা অন্য কোনও পেশা থেকে আয় করছেন বা দুটি বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে আয় করছেন, তাঁদের ‘ব্যবসা বা পেশা থেকে আয়’ ক্যাটাগরিতে আয়ের তথ্য জানাতে হবে। অন্যান্য উৎস থেকে আয়ের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্ক এফডি, বিমা কোম্পানি থেকে পেনশন, শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড থেকে লভ্যাংশ ইত্যাদি। ভাবে আপনি মোট করযোগ্য আয় বের করতে পারবেন। এর পর ৮০সি এবং ৮০ডি ইত্যাদির অধীনে কর ছাড় পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে, করদাতারা পুরানো কর ব্যবস্থা এবং নতুন কর ব্যবস্থার মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা পান। নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নিলে প্রায় ৭০ প্রকারের কর ছাড় মিলতে পারে।
আরও পড়ুন : ITR Filing FY 2021-22:বাড়ি বসে Income Tax জমা দেবেন কী ভাবে?