SVMCM Scholarship : স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ প্রসঙ্গে এবার উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যাতে বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য স্কলারশিপের খাতে বিপুল টাকা খরচ করার প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার।
দারিদ্রতা হবে না কোনও ‘বাধা’। কারণ রাজ্য সরকার নিতে চলেছে বড় পদক্ষেপ। মেধাবীদের সাফল্যে আর্থিক সমস্যা কোনওভাবে যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য।
স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপও এর মধ্যে রাজ্য সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এই বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা যাতে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপের খাতে খরচ করা যায় সেই জন্য প্রস্তুত রাজ্য।
এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবং তা চলবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, প্রশাসনিক মহলের একাংশের থেকে প্রাপ্ত সূত্র মোতাবেক যাঁরা এই স্কলারশিপের যোগ্য হবে তাঁদের মার্চ মাসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে এই টাকা যাতে পাঠানো যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
Click here for Apply Online of Swami Vivekananda Merit-Cum-Means Scholarship : https://svmcm.wbhed.gov.in/
Click here for Online Application of Swami Vivekananda Merit Cum Means Scholarship : https://svmcm.wbhed.gov.in/page/application_procedure.php
মূলত দুটি বিষয় উল্লেখ থাকে। প্রথমত, আবেদন, দ্বিতীয়ত-পুনর্নবীকরণ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং এরপরেই আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিটেকনিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়ারাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য সর্বশেষ পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগে তা ছিল ৭৫ শতাংশ।
২০২২-২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ১৪০০ কোটি টাকা স্কলারশিপের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। এর আগের বছর এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১১০০ কোটি টাকা। এই অর্থের সাহায্যে রাজ্যের মেধাবী ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের শিক্ষার খরচ বহন করা হয়।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে পড়ুয়াকে অবশ্যই যোগ্য হতে হবে। যোগ্যতার বিষয়টি নির্ভর করে স্কলারশিপের ধরন এবং পড়ুয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর। সাধারণত, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করা, নির্দিষ্ট জাতি বা ধর্মের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, বা বিশেষ কোনও প্রতিভা বা দক্ষতা থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলি যোগ্যতার জন্য বিবেচনা করা হয়।
যদি সংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ হয়ে যায়, তাহলে বাকিদের স্কলারশিপের জন্য বাজেট আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে।