India China Conflict : লাগাতার চাপের জেরেই সুর নরম চিনের?

WhatsApp Group Join Now
Google News Follow

Contents

India China Conflict: External Affairs Minister S Jaishankar-র মন্তব্যের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেয়ে সুর নরম করল বেজিং। শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “যতগুলি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য (India China Conflict) রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষেত্রে একমত দুই দেশ।” ভারত ও চিনের উন্নতি না হলে এশিয়ার উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

২৪ ঘণ্টার ব্যাবধানে সুর নরম চিন এর।

মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান। তার মধ্যেই সুর নরম করল  চিন। একের পর এক আগ্রাসী মনোভাবের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই ড্রাগনল্যান্ডের উপর কূটনৈতির স্তরে চাপ বাড়াচ্ছিল নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেই চাপের জেরেই সুর বদলাতে বাধ্য হয়েছে চিন(India China Conflict)। তবে এর প্রভাব সীমান্ত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কতটা পড়বে, তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। কারণ বরাবরই ‘মুখে এক আর কাজে আরেক’ করতে দেখা গিয়েছে চিনকে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে আলোচনা সভা।

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে একটি আলোচনা সভায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, “বর্তমান সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত কঠিন খাতে বইছে।” এরপরই শুক্রবার এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “ভারত ও চিন প্রাচীন সভ্যতার দেশ। তাই এই দুই রাষ্ট্রে উন্নয়ন না হলে এশিয়ার উন্নতি সম্ভব নয়।

External Affairs Minister S Jaishankar-র মন্তব্যের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেয়ে সুর নরম করল বেজিং।

সীমান্তে বারবার আগ্রাসী মনোভাব দেখানোয় এবার বেজিংয়ের বিরুদ্ধে বড়সড় আর্থিক নিষেধাজ্ঞার রাস্তায় হাঁটতে পারে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের করা কয়েকটি মন্তব্যের জেরে সেই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, “সীমান্ত সমস্যা না মিটলে  ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়।”  থাইল্যান্ডের আলোচনা সভায় আরও একধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেন জয়শংকর( External Affairs Minister S Jaishankar)। “সীমান্তে চিন যা করেছে, তার জেরেই দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত কঠিন খাতে বইছে। ভাবা হয়েছিল চিনের সুবুদ্ধির জাগবে।” কিন্তু বেজিং যে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে না তা আরও একবার স্পষ্ট করে করে দেন তিনি।

২০২০-তে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসী মনোভাব  চিন এর।

২০২০-তে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) বা LAC সংলগ্ন এলাকায় আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন। তারপর থেকে দু’বছর কেটে গেলেও মেটেনি সমস্যা। বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। এই নিয়ে সামরিক পর্যায়ে ১৬ রাউন্ডে বৈঠক করেছে দুই দেশ। এর মধ্যেই সামনে এসেছে আফ্রিকার জিবুতি-তে চিনা নৌসেনা ঘাঁটি উপগ্রহ এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী বাব-এল-মান্দাব প্রণালীর কাছে রয়েছে এই নৌসেনা ঘাঁটি। সেখানে ফ্রিগেট, কর্ভেটের মতো রণতরী ও ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকলস’ (Amphibian Landing Vehicles) বা জলে ও স্থলে চলতে পারে এমন সামরিক যান ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতকে টার্গেট করতেই এই নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। কারণ আরব সাগরের (Arabian Sea) জলসীমায় ঢুকতে এই ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারে চিনের Peoples Liberation Army বা PLA।

আরও পড়ুন : Aadhaar Seva Kendra:আধার সেবা কেন্দ্র কীভাবে খুলবেন ? ইনকাম প্রতি মাসে করতে পারবেন ভালো পরিমাণ টাকা।

WhatsApp Group Join Now
Google News Follow

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles