Contents
Indian Railways:
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ডে EIR-21(Indian Railways) তৈরি করা হয়েছিল। ১৮৫৫ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেইসময় সেই স্টিম ইঞ্জিন ব্যবহার করত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ইংলিশ অ্যান্ড ব্রিটিশ কোম্পানি। হাওড়া থেকে রানিগঞ্জ ও অন্যান্য জায়গায় ইআইআর-২১ পরিষেবা দিত। ১৮৬৬ সালে যখন হাওড়া এবং দিল্লির মধ্যে প্রথম ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছিল, তখন ‘নেতা’ ছিল ইআইআর-২১। পরবর্তীতে ১৯০৯ সালে ‘অবসর’ নিয়েছিল। তারপর থেকে বিহারের জামালপুর ওয়ার্কশপে প্রদর্শিত হত।
ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতের (India) মাটিতে ছুটে চলেছে। শতাব্দী প্রাচীন সেই ট্রেনগুলোকে এখন আর দেখা যায়না। ভারতীয় রেল এখন আধুনিকরণের পথে এগিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেও দেশে এমন এক ইঞ্জিন রয়েছে যা শুধু ভারতেই নয়, সারাবিশ্বের প্রাচীনতম রেল ইঞ্জিন।
এই স্টিম ইঞ্জিনের(বাষ্পচালিত) বয়স কত জানেন?
১৬৭ বছরের পুরনো এই ইঞ্জিনটি। ভারতীয় রেলের এই বাষ্পচালিত ইঞ্জিনই বিশ্বের প্রাচীনতম সক্রিয় রেল ইঞ্জিন। সোমবার ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের দিনেও এই ইঞ্জিন বগি টেনে নিয়ে গিয়েছে চেন্নাইয়ের এগমোর থেকে কোদামবাক্কাম স্টেশন পর্যন্ত। এই ইঞ্জিনটির নাম— ইআইআর-২১(Indian Railways)। ভারতে ব্রিটিশ যুগের এই ইঞ্জিনটি তৈরি ইংল্যান্ডেই।
কীভাবে ‘পুনর্জন্ম’ হল ইআইআর-২১?
বিহারের ওয়ার্কশপে ১০১ বছর কাটানোর পর ২০১০ সালে পেরাম্বুর লোকো ওয়ার্কে ইআইআর-২১ স্টিম ইঞ্জিনের পুনর্জন্ম হয়। আপাতত ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে ইআইআর-২১ স্টিম ইঞ্জিন। বাড়তি দুটি এয়ার ব্রেকের পাশাপাশি একটি মেকানিকাল হ্যান্ড ব্রেক আছে।
পুনর্জন্মের পর ইআইআর-২১ এর যাত্রাপথ।
‘পুনর্জন্মের’ পর ২০১০ সালের ১৫ অগস্ট চেন্নাই সেন্টাল থেকে আভাদি পর্যন্ত প্রথম ‘হেরিটেজ রান’ হয়েছিল ইআইআর-২১ স্টিম ইঞ্জিনের। সঙ্গে ছিল দুটি কোচ।রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার (১৫ অগস্ট) বেলা ১২ টায় চেন্নাইয়ের এগমোর থেকে কোদাম্বাক্কামের মধ্যে ছুটবে ১৬৭ বছরের পুরনো স্টিম ইঞ্জিন। সঙ্গে থাকবে একটি কোচ।
কিভাবে ভারতে এসেছিল এবং কিভাবে কাজ শুরু করে(ইআইআর-২১)?
ব্রিটিশদের দেশে তৈরি হয়ে জাহাজে করে ভারতে এসেছিল এই ইঞ্জিন। ১৮৫৫ তে ভারতে আসার পর ১৯০৯ সাল পর্যন্ত নিজের কাজ করে গিয়েছে সেটি। এরপর ১৯১০ সালে অবসর নেওয়ার পর বিহারের জামালপুর ওয়ার্কশপের সংগ্রহশালায় সেটিকে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। এরপর দীর্ঘ ১০১ বছর সেখানেই কাটালেও ২০১০ সালে আবার স্থান পরিবর্তন করে এই শতাব্দী প্রাচীন ইঞ্জিন।
২০১০ সালে জামালপুর থেকে চেন্নাইয়ের কাছে পেরাম্বুরের রেলের ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হয় ইআইআর-২১ কে। নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয় তাকে।২০১০ সালের স্বাধীনতা দিবসে চেন্নাই সেন্ট্রাল থেকে অবদি স্টেশন পর্যন্ত চালানো হয়। রেল অবশ্য শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি।পরবর্তীতে আরো একটি বগি জুড়ে দেয় তারা। ২০১৯ সালের স্বাধীনতা দিবসে বগিসমেত ট্রেনটিকে চালায় রেল।
সত্যিই কি ভালো ছুটতে পারবে (ইআইআর-২১)?
এখনো ট্রেনটি ঘণ্টায় ৪৫ কিমি গতিবেগে নিজের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : Indian Railway : সর্বোচ্চ স্পিডে ট্রেন ছুটিয়ে ইতিহাস গড়ল ভারতীয় রেল!