পশ্চিমবঙ্গে ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের পরে অনেকেই ভেবেছিলো যে, কোভিড-19 সংক্রমণ শেষের পথে। কিন্তু বিগত ৭ থেকে ১০ দিনে এই রোগ ফের মাথাচারা দিয়ে বেড়ে উঠেছে এবং বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। আর করোনা সংক্রমণ বাড়লেই সবার আগে তার প্রভাব এসে পরার আশঙ্কা করা হচ্ছে স্কুল-কলেজগুলোর ওপর।
এই সপ্তাহে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১০০০ এর গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। গত ২৮ শে জুলাই রাজ্যের নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫৪ ছিল। সেই সংখ্যা গত দু’দিনে যথাক্রমে ১৪২৪ ও ১৫২৪ । যেখানে জুন মাসের শুরুতেই এই সংখ্যাটা মাত্র ১০০-১৫০ এর মধ্যে ছিলো, সেখানে এক লাফে সংক্রমন এতটা বেড়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগের। পজিটিভিটি রেটও প্রায় ১৩ ছুঁই ছুঁই। ফলে এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা ফের করোনার প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বিগত এক দুমাসে সাধারণ নাগরিকরা কোভিড স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানছেন না। নতুন স্ট্রেনের পাশাপাশি এই অসাবধানতাকেও ডাক্তাররা ফের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার জন্য দায়ী করছেন। তাই ফের স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে সাধারণ মানুষদের মাস্ক পড়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।স্কুল কলেজ গুলি কে বার বার সন্টিটাইজ করার ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরমের ছুটি কাটিয়ে স্কুলগুলো ফের খুলেছে। এরই মাঝে করোনার প্রভাব বাড়ার ফলে যদি ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে ফের এর খারাপ প্রভাব পড়বে। মনে রাখবেন, চীনেও কিন্তু দ্বিতীয় ওয়েভের পরে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হয়েছিলো, কিন্তু তাদের দেশে কিছুদিন আগেও নাগরিকদের কঠোরভাবে লকডাউন পালন করতে হয়েছে। তাই অতিরিক্ত অসাধাবধানতা ও অসতর্কতার ফলে আমাদেরও যেন একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয় সেবিষয়ে প্রত্যেককে নজর রাখতে হবে।