US Study ! মার্কিন মুলুকের উচ্চশিক্ষা কেরিয়ার গড়ার পাশাপাশি নিজেকেও আবিষ্কার করার সুযোগ দিয়েছে, জানালেন অভিজ্ঞ শিক্ষার্থী

Join Our WhatsApp Group For New Update

Contents

us-study: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি!  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি থাকার কারণে কেরিয়ার গড়া এবং ভালো চাকরি পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এগুলো তো আছেই, তবে নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করারও সুযোগ মেলে।

কারণ আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে নিজের দেশ, ঘর-পরিবারকে ছেড়ে অনেক দূরে যেতে হয়। ফলে শিক্ষার সাধনার থেকে এটা কোনও অংশে কম নয়। এমনটাই জানিয়েছেন সিড থাটাম (Sid Thatham) নামে এক শিক্ষার্থী।

us-study:কে এই সিড থাটাম ?

  •  মোট ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে তিনি পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। শেষে ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি অফ সিনসিনাটি (UC) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিড। আমেরিকার স্নাতক স্তরের ছাত্রজীবন সম্পর্কে সিডের একটি অস্পষ্ট ধারণা ছিল।
  • কিন্তু সিনসিনাটিতে পৌঁছে এবং সহকর্মী ও স্নাতক পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি জানতে পারেন এটা নিয়ে এক-এক জনের এক-এক রকম মতামতের কথা। আসলে এই বিষয়ে সকলেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই মতপ্রকাশ করেছিলেন। আর সিড বলেন, “আমার মনে হত, আমার অভিজ্ঞতাও সবথেকে আলাদাই হবে।”

us-study:সিড থাটাম এর নিজস্ব মতামত:

  • এই প্রসঙ্গে সিড জানান, তিনি হামেশাই নিজেকে জিজ্ঞাসা করতেন, “আমি যখন এই জায়গাটি ছেড়ে চলে যাব, তখন ডিগ্রি ছাড়া আমি আর কী নিয়ে যাব?” আসলে সেই সময় এই প্রশ্ন করেই নিজের এগোনোর পথ তৈরি করতেন সিড। শুধু তা-ই নয়, তিনি সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজ জীবন ভালো ভাবে লক্ষ্য করতেন।
  • আর নিজেকে জিজ্ঞাসা করতেন, “একজন স্নাতক স্তরের পড়ুয়া হিসাবে, আমি কীভাবে এটা উপভোগ করব? নিজের কলেজ-জীবনে যা করতে পারিনি, সেটাও কীভাবে পূরণ করা যায়?” আর এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবং নিজেকে আবিষ্কার করতে সিড একটা সহজ পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। আর সেটা হল- তিনি নিজে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

 

সিড  কি শিক্ষাবিদ ?

এর পরে তিনি ভারতীয় ছাত্র সংগঠন বা ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, স্নাতক ছাত্র সংগঠনের দুবার সহ-সভাপতি, UC সভাপতির জন্য অনুসন্ধান কমিটির অংশ, হাইপারলুপ UC-র ব্যবসায়িক নেতৃত্বস্থানীয় পদাধিকারী এবং UC-এর জন্য একজন আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি TEDxUC এবং TEDxCincinnati-তেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। ক্যাম্পাসে সময় দেওয়ার ফলে সিডের নানা ধরনের পেশাদার ও শিক্ষাসংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা এবং সংস্কৃতিগত বৈচিত্র্যের অভিজ্ঞতা হয়। যার কারণে তিনি বহু অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন।

থাটাম এর আরোও মতামত !

  • সিডের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আর অন্য কোথাও নেই। UC-র জাতিগত সচেতনতা প্রোগ্রামে (RAPP) গিয়ে তিনি অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছেন‌। RAPP-এর বন্ধুদের মাধ্যমে, তিনি তিন বছরের জন্য TEDxCincinnati-এর স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারতে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ হিসাবে, তিনি সর্বদা একটি TEDx ইভেন্ট লাইভ দেখতে চাইতেন।
  • এই সময়ে, তিনি ক্যাম্পাসে প্রথম হাইপারলুপ টিমেরও অংশ ছিলেন এবং ছাত্র দল সম্পর্কে TEDx-এ কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আটশোরও বেশি মানুষের সামনে কথা বলতে ভয় লেগেছিল, কিন্তু আমি সেই সময় আমার মঞ্চের ভয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম।”

 

তিনি আরোও জানান : 

  • সিড থাটাম আরও জানান, “এই সফরে আমার বেশ কিছু স্মৃতিও তৈরি হয়েছে। হ্যালোউইনের জন্য থিম মেনে সাজ থেকে শুরু করে বিখ্যাত গার্ল স্কাউট কুকিজ খাওয়া- এই সব কিছুই আমি করেছি। আসলে এগুলো আমি শুধু ফিল্মেই দেখেছিলাম। আবার এমন সব জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, যেখানে আমার প্রিয় কিছু মুভির শ্যুটিং হয়েছিল।
  • এমনকী মহাকাশে গিয়ে মহাকাশচারীরা যেসব খাবার খায়, সেই সব খাবার খাওয়ারও অভিজ্ঞতা হয়েছিল। যে বিষয়গুলির অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সেগুলো আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। যেমন- বিশ্বব্যাঙ্কে বক্তৃতা থেকে হওয়ার্ড শুলৎজ এবং ইলন মাস্কের পাশাপাশি হাঁটারও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি।” যদিও এই সব কিছু করা অতটাও সহজ ছিল না।

 

সিড থাটাম এর আরোও বলেন !

  • তিনি আরও বলেন, “আমি সময় বাঁচানোর জন্য ক্যাম্পাসে টেবিলের নিচে ঘুমাতাম। রান্না করা খাবারও তখন আমার কাছে বিলাসিতা ছিল। তাই বেশির ভাগ সময়ই কফি, পি-নাট বাটার এবং কফির উপরই থাকতাম। আমি সব সময় বন্ধু এবং পরিবারের জন্য সময় বার করতে পারতাম না। প্রায় আট বছর পর্যন্ত আমি নিজের বাড়ি ফিরতে পারিনি।”
  • পাঁচ বছর ধরে গ্র্যাজুয়েট স্কুল এবং দু’টি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পরে মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)-এর পড়াশোনা করার জন্য সিড সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমার বন্ধুরা যা বলত, সেটা কিছু অংশে সত্যি।
  • আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক জন আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার কেরিয়ারের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে।” তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “এখানে আপনি যত বেশি দেবেন, তত বেশি ফেরত পাবেন।” সিড ২০১২ সালে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং ২০১৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তখন থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছেন।

কি কাজ করতেন সিড থাটাম ?

তিনি ইউনিভার্সিটির পাওয়ার প্ল্যান্টে একজন এনার্জি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি ক্যাম্পাসের বাইরের চেয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরেই বেশি সময় কাটিয়েছেন- প্রথমে একজন ছাত্র হিসাবে এবং এখন একজন কর্মচারী হিসাবে।

  • তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানুষদের সঙ্গে এই জায়গাটিও আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে এবং নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে। গত ১০ বছর আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল কিন্তু তা সবচেয়ে ফলপ্রসূও হয়েছিল।” সিড আরও বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা আমায় এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল, যা আমার কাছে অকল্পনীয়। যেখানে যেতে পারব বলে আমি কেনও দিনই ভাবিনি, সেই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে আর কোনও আফসোস নেই।”

আরোও পড়ুন :মালদহ মেডিক্যালে MD কোর্সে যোগ হল এই তিন নতুন বিষয়

Join Our WhatsApp Group For New Update

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles